‘চিকিৎসক ছুঁয়েও দেখলেন না’ নিথর সন্তানকে জড়িয়ে ধরে বাবা-মার হাহাকার Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




‘চিকিৎসক ছুঁয়েও দেখলেন না’ নিথর সন্তানকে জড়িয়ে ধরে বাবা-মার হাহাকার

‘চিকিৎসক ছুঁয়েও দেখলেন না’ নিথর সন্তানকে জড়িয়ে ধরে বাবা-মার হাহাকার




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বাবার কোল বা কাঁধে সন্তানের মরদেহ উঠার মতো পৃথিবীতে কঠিন কিছু হতেই পারে না। কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলায় সন্তানের মরদেহ কাঁধে তুলতে যাচ্ছেন প্রেমচাঁদ নামের এক বাবা। এরইমধ্যে বুকে মানিককে হারিয়ে হাসপাতালের চত্বরে ছেলেকে বুকে ধরে শুয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। তার সঙ্গে শোকে বিহ্বল স্ত্রীও সমান তালে হাউমাউ করে কাঁদছেন।

 

 

রোববার বিকেলে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজের এক সরকারি হাসপাতালে এমনই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে শিশুটির জ্বর ও গলাও ফুলে উঠেছিল। তাই প্রেমচাঁদ ও তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে সোজা ছুটে গিয়েছিলেন কনৌজের সরকারি হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার পর শিশুটিকে ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেননি চিকিৎসকেরা। উল্টো প্রেমচাঁদকে কিছু করার নেই বলে কানপুরের হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।

 

 

এদিকে প্রেমচাঁদের এমন অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকার করছেন চিকিৎসকেরা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই দিন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট নাগাদ শিশুটিকে নিয়ে আসেন ওই দম্পতি। তার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসর পর খবর দেয়া হয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে। কিন্তু ততক্ষণে আধঘণ্টা কেটে গিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো দাবি করে, শিশুটিকে বাঁচানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল। তাই গাফিলতির কোনো প্রশ্নই আসে না।

 

 

প্রেমচাঁদের অভিযোগ, প্রথমে চিকিৎসকেরা ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতেই চাননি। হাসপাতালেই বেশ কিছু লোক ঘটনাটির ভিডিও করায় চিকিৎসকেরা ছেলেকে পরীক্ষা করা শুরু করেন। আধঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয়েছিল আমাদের। তারপর ছেলেকে কানপুরে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকেরা। প্রেমচাঁদের ভাষ্য, তিনি গরিব মানুষ। টাকা নেই। তাই কোনো কিছু করার সামর্থ্য তার নেই।

সূত্র-এনডিটিভি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD